করোনা আক্রান্ত হয়ে চন্দননগরের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকার মৃত‍্যু

14th July 2020 5:55 pm হুগলী
করোনা আক্রান্ত হয়ে চন্দননগরের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকার মৃত‍্যু


নিজস্ব সংবাদদাতা ( চন্দননগর ) : ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চন্দননগরের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকার।মৃতার নাম সৌমি সাহা(৩৪)।বাড়ি চন্দননগর মুন্সিপুকুর এলাকায়।পোলবার কাশ্বারা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সৌমি।জানা গেছে কয়েকদিন ধরে জ্বর শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন শিক্ষিকা।চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করান।শিক্ষিকার বাবা করোনা পজিটিভ ছিলেন।শিক্ষিকারও পজিটিভ হওয়ায় হোম আইসোলেশানে ছিলেন।বাড়াবাড়ি হওয়ায় ব্যান্ডেল ইএসআই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন।আজ সকাল দশটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।লকডাউন চলাকালীন মাস দেরেক আগে দিল্লী বাসী এক পাত্রকে বিবাহ করেন সৌমি। উল্লেখ‍্য গতকালই চন্দননগর মহকুমা শাসক দপ্তরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়ের মৃত্যু হয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।